পূবালী ব্যাংক ইস্যু করবে ৭৫০ কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেট বন্ড
প্রকাশিত : ১৩:৪৫, ১৯ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৩২, ১৯ মার্চ ২০১৯
৭৫০ কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড-টু ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সাত বছরের জন্য বন্ডটি ইস্যু করা হবে। টায়ার-টু মূলধনের শর্ত পূরণের জন্য এ বন্ড ইস্যু করবে পূবালী ব্যাংক। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনক্রমে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এদিকে গতকাল ব্যাংক খাতের কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৭ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ২৯ হাজার ৭১৭টি শেয়ার মোট ১১৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ১০ পয়সা মধ্যে ওঠানামা করে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়। তবে আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে প্রায় ৯৬ শতাংশ। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় করে ছয় পয়সা। আর তার আগের বছর করে এক টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ইপিএস কমেছে এক টাকা ৫২ পয়সা বা ৯৬ শতাংশ।
এছাড়া ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) কমেছে ৯ শতাংশ বা দুই টাকা ৫৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ কোম্পানিটির এনএভি দাঁড়ায় ২৫ টাকা ২৯ পয়সা যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ২৭ টাকা ৮৫ পয়সা। আর ওই হিসাববছরে মুনাফা করে পাঁচ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা তার আগের বছরে ছিল ১৩৯ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা কমেছে ১৩৩ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শতাংশ নগদ ও আট শতাংশ বোনাসসহ মোট ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১২ শতাংশ নগদ। এ সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৫৮ পয়সা এবং এনএভি ২৭ টাকা ৮৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৩৪ পয়সা ও ২৭ টাকা ৪৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৩৯ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২৯৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ৪৬১ দশমিক ৬৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে সাত দশমিক ৭২। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯৮ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪০৬ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৯৯ কোটি ৮৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯০৩টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩১ দশমিক ১৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এক দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪১ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এসএ/
আরও পড়ুন